November 22, 2024, 6:26 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরের দিন দেশের পাঁচটি কারাগারে চরম বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করে ২ হাজার ২৪১ জন বন্দি বেরিয়ে যায়। এসব পলাতকদের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, অস্ত্র, মাদক, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। পালিয়ে যাওয়া এই বন্দিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়াসহ বিচারাধীন মামলার বন্দিরাও ছিল।
গত রোববার পর্যন্ত পলাতকদের মধ্যে ১ হাজার ৩১২ জনকে ফের জেলে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এরা হয় স্বেচ্ছায় নয়তো গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ফিরেছে। তবে এখনো মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের অন্তত ৮২ বন্দিসহ ৯২৯ জন বন্দি পলাতক রয়েছে, যারা এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্র্ধষ এই বন্দিরা বাইরে থাকলে ফের নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণ হতে পারে।
হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮৬ বন্দি/
মাদারীপুরের উজ্জ্বল খান (২৯), শরীয়তপুরের মো. আল আমিন (২৮), নেত্রকোনার মুনতাসির আল জেমি (২৬), বরিশালের হুমায়ুন কবির মোল্লা (৪৩), চুয়াডাঙ্গার মো. বাহার (৪৩), গোপালগঞ্জের সাজেদুল ইসলাম (২৭), ময়মনসিংহের শরীফুল ইসলাম নাঈম (২৬), টাঙ্গাইলের শাহাদাত হোসেন (৪০), নারায়ণগঞ্জের রাজু (৩২), কুষ্টিয়ার রুবেল, জামালপুরের মো. সবুজ মিয়া (৩৮), কুষ্টিয়ার সবুজ মল্লিক (২৬), নেত্রকোনার আবুল (৫১), মৌলভীবাজারে ইদ্রিস মিয়া (৪০), নারায়ণগঞ্জের মোয়াজ্জেম হোসেন (৩০), যশোরের মো. সোহাগ (৩০), নারায়ণগঞ্জের মোসাদ্দেক ওরফে সাকে আলী (৩৮) ও মো. জাকারিয়া (৩৭), গাজীপুরের জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮), নাটোরের মো. আব্দুল মজিদ (৩৪), চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাগর আহম্মেদ (৩১), গাজীপুরের নাইম ওরফে মহিউদ্দিন নাইম (৩০), কিশোরগঞ্জের নাজমুল (৩২), নেত্রকোনার মো. রুবেল মিয়া (৩৪), শেরপুরের আসলাম বাবু (২৮) ও আ. লতিফ (২৭), চট্টগ্রামের আবু মোকারম (৪৪), কুমিল্লার তোফায়েল আহম্মেদ (৪০), শেরপুরের আমান উল্লাহ (২৫), শরীয়তপুরের নজরুল ইসলাম (৪৮), ময়মনসিংহের সাইফুল ইসলাম (৪০), মুন্সীগঞ্জের জুলহাস দেওয়ান (৫৩), ফরিদপুরের তোফা মোল্লা (৩৬), রাজবাড়ীর আরজু মোল্লা (৪১), নেত্রকোনার ছোয়াব মিয়া (৪০), মুন্সীগঞ্জের আ. মালেক (৩২), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবদুল মতিন (২৯), খুলনার আজিজুর রহমান পলাশ (৩৪), চাঁদপুরের আমির হোসেন (৩০), কিশোরগঞ্জের নুরে আলম (৩০), বরিশালের মো. নাছির (৩৮), ঝালকাঠির এমদাদুল হক গন্ডার (৩০), মুন্সীগঞ্জের জাহাঙ্গীর শওকত জুয়েল (৪৭), টাঙ্গাইলের রিপন নাথ ঘোষ (৪৬), গোপালগঞ্জের আব্দুল্লাহ শিকদার (২২), খুলনার মফিজুর রহমান (৩৭), রাজবাড়ীর রুবেল মণ্ডল (২৭), নারায়ণগঞ্জের ফিরোজ (৩৭), নেত্রকোনার শামীম খান (২৭), সাভার ঢাকার মো. লিটন (৪৬), কুমিল্লার ওমর ফারুক (৩৬), মানিকগঞ্জের জানে আলম (৩৩), নেত্রকোনার সাইদুল ইসলাম (৩৪), রাজশাহীর মো. সবুজ (৩৪), কিশোরগঞ্জের আবুল হোসেন (৩৭), রাজধানীর পল্লবীর শমসের (৩০), শরীয়তপুরের সোহাগ হাওলাদার (৩৩), ফরিদপুরের মনিরুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৮), ময়মনসিংহের রাসেল মিয়া (২৭), কক্সবাজারের গোলাম নবী ওরফে আবু (২৬), বরিশালের রুবেল (৩২), ময়মনসিংহের আনিসুর রহমান (৩৩), মাদারীপুরের সায়েদ ফকির ওরফে সাইফুল (২৭), সুনামগঞ্জের বাদল মিয়া (৩০), সিলেটের এবাদুর রহমান ওরফে পুতুল (৪৪), মানিকগঞ্জের হৃদয় ওরফে মানিক (২৮), ফরিদপুরের ইসলাম মীর (৪৩), ঢাকার আশুলিয়ার সোহেল রানা (৩২), গাজীপুরের রিপন (৩৬), ধামরাই ঢাকার ফিরোজ হোসেন (২৩), মাদারীপুরের নুর আলম মিয়া (২৭), কুষ্টিয়ার ভাংগন মণ্ডল (৩০), কিশোরগঞ্জের মো. শাহ আলম (৪০), চট্টগ্রামের বাহাদুর মিয়া (৩৫), কিশোরগঞ্জের আমিনুল হক (৩৯), শরীয়তপুরের এছাহাক ওরফে সুমন হাওলাদার (৪২), রাজধানীর পল্লবীর রাব্বী হোসেন (৩০), মানিকগঞ্জের সোহেল (২৮), পিরোজপুরের সুমন জোমাদ্দার (২৭), টাঙ্গাইলের লুকিমুদ্দিন ওরফে লোকমান (৫৪), খুলনার শাহিন মল্লিক (৩৩), শরীয়তপুরের সাকিব ওরফে বাবু (২২), সিরাজগঞ্জের আমিনুল ইসলাম (৪০), বাগেরহাটের সাইফুল ইসলাম (৩৬), রাঙামাটির মো. ইব্রাহিম (৪১), এবং চাঁদপুরের মো. মনির হোসেন (৪২)। তাদের মধ্যে র্যাব রুবেল, এমদাদুল হক গন্ডার ও লোকমান নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, এরই মধ্যে জেল পলাতকদের একটি অংশ বিভিন্ন কৌশলে দেশ ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করছে। তবে এরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেজন্য দেশের প্রতিটি ইমিগ্রেশন পয়েন্টে তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি চলমান অবৈধ অস্ত্রবিরোধী বিশেষ অভিযানেও এই জেল পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply